দুর্বল নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে ৩-০ হারের পর যখন ভারত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলতে নামল, দলের অবস্থা ছিল নড়বড়ে। মূল অধিনায়ক রোহিত শর্মা চোটের কারণে দলে নেই, তাঁর জায়গায় দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছিল সহ-অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরাহর হাতে। তিন নম্বর ব্যাটার চেতেশ্বর পূজারাও চোটের কবলে। এমন পরিস্থিতিতে যখন একাদশ ঘোষণা হল, দেখা গেল রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজার মতো অভিজ্ঞ স্পিনারও নেই। ম্যাচ শুরুর আগে সব বিশ্লেষণে মনে হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটাই ভারতকে হারানোর সেরা সুযোগ। কিন্তু বাস্তব ছবিটা হলো ঠিক উল্টো।
পার্থের মাটিতে ভারতের ঐতিহাসিক জয় এসেছে বুমরাহর অসাধারণ নেতৃত্ব এবং দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির শুরুতেই ভারত নিজেদের দাপট দেখিয়ে দিল, অস্ট্রেলিয়াকে চতুর্থ দিনে ২৯৫ রানে হারিয়ে।
তৃতীয় দিনের শেষে মাত্র ১২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিনের শুরুতে সিরাজের বলে উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থের হাতে ক্যাচ দিয়ে উসমান খোয়াজার বিদায়ে সেই চাপে ইন্ধন জোগায়।
স্টিভ স্মিথ এবং ট্র্যাভিস হেড কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। হেড, যিনি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে অসাধারণ পারফর্ম করেছিলেন, এবারও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। তবে তাঁর তাণ্ডব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
হেডের বিদায়ের পর ভারতের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় ২৩৮ রানে, এবং ভারত ২৯৫ রানে জয়লাভ করে। এই জয়ে ভারতের বোলারদের মধ্যে বুমরাহর পাশাপাশি সিরাজ এবং শামির ভূমিকা ছিল দুর্দান্ত।
জয়ের পর সর্বত্র বুমরাহর নেতৃত্বের প্রশংসা শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, তাঁর সঠিক সিদ্ধান্ত এবং চাপ সামলানোর দক্ষতা ভারতকে এই ঐতিহাসিক জয় এনে দিয়েছে। পাশাপাশি এমন প্রশ্নও উঠছে, বুমরাহকে কি পাকাপাকিভাবে টেস্ট অধিনায়ক করা উচিত?