জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে আইএসএল খেতাব এল এটিকে মোহনবাগান শিবিরে! উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা। আইএসএল ফাইনালে শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসি-কে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিলেন প্রীতম কোটালরা।
১৪ মিনিটে প্রথম গোল। প্রাক্তনীর ভুলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কর্নার বাঁচাতে গিয়ে হাতে বল লাগিয়েছিলেন কৃষ্ণ। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেত্রাতোস কোনো ভুল করেননি। পরাস্ত করেন গুরপ্রীতকে। ৪৮ মিনিটে সেই কৃষ্ণই পেনাল্টি আদায় করে নেন বেঙ্গালুরুর জন্যে। ভুল মোহনবাগানের ডিফেন্ডার শুভাশিসের। বল ক্লিয়ার করতে বড্ড বেশি সময় লাগান। সোজা মারেন কৃষ্ণের পায়ে। পেনাল্টি থেকে ঠান্ডা মাথায় গোল সুনীলের।
৩ মিনিটের মাথায় ধাক্কা খায় বেঙ্গালুরু। শুরুতেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন অন্যতম অস্ত্র শিবশক্তি। তাঁর জায়গায় নামেন সুনীল ছেত্রী। প্রথমার্ধের শেষে গোল করে সুনীলই বেঙ্গালুরুকে লড়াইয়ে রেখে দেন। আইএসএল ফাইনালে পরিবর্ত হিসাবে নেমে গোল করা চতুর্থ ফুটবলার বাংলার জামাই।
বেঙ্গালুরুর কর্নার ভেসে এসেছিল মোহনবাগান বক্সে। গোলের মুহূর্ত তৈরি হচ্ছিল বেঙ্গালুরু এফসির। অনবদ্য ব্লক করেন এটিকে মোহনবাগান ডিফেন্ডার দামিয়ানোভিচ। এর পরের মুভ থেকেই ৭৭ মিনিটের মাথায় রয় কৃষ্ণর গোল এগিয়ে দেয় বেঙ্গালুরুকে। যদিও ৮৫ মিনিটের মাথায় আবার পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। এ বারও পেত্রাতোস কোনো ভুল করেননি।
এর পর নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ অমীমাংসিত থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়েও কোনো দল গোল করতে না পারায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরুকে ৪-৩ হারায় মোহনবাগান।