ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানীর দখল নিয়েছে তালিবান। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। তালিবানদের দখলে আসার পর আফগানিস্তানের নতুন সরকারের নাম হতে চলেছে ‘ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তান’। দ্রুতই এই নতুন সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করতে চলেছে জঙ্গিগোষ্ঠী।
সূত্রের খবর, প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এমন এক গোষ্ঠীর মাধ্যমেই মিলেছে ‘ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তান’ প্রতিষ্ঠার খবর। এদিকে, ভারতের মতো তালিবানের এই ক্ষমতা দখলকে মান্যতা দিতে নারাজ ব্রিটেন, রাশিয়াও। আজই জরুরি ভিত্তিতে আফগানিস্তান নিয়ে বৈঠকে বসছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)।
কাবুলে হানাহানি না করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর চেয়েছিল তালিবান। কাবুলে ৪০ জন জখম হওয়ার খবর মিলেছে। তবে বড়সড় কোনও হামলার কথা জানা যায়নি। সূত্রের খবর, তালিবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বরাদরের সঙ্গে ৪৫ মিনিটের বৈঠক করেন গনি। তার পরই ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন। দেশকে বিপদের মধ্যে ফেলে তাঁর পলায়ন কাপুরুষোচিত বলে মনে করছে আফগান জনতা। তালিবান বাহিনীর দখলে চলে গিয়েছে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ। তালিবান শিবির সূত্রের খবর, কোনও অন্তর্বর্তী সরকার চায় না তারা। ক্ষমতার সম্পূর্ণ হস্তান্তর চায়।
আরও পড়ুন: আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির পদত্যাগ
তালিবানরা কাবুলে প্রবেশের পরেই প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশত্যাগ করেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী তিনি তাজিকিস্তানের দিকে গিয়েছেন। আফগান অভ্যন্তরীণ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাজিকিস্তানে গিয়েছেন গনি। প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণেই আসরাফ গনি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো সম্ভব নয়। অন্যদিকে তালিবানদের তরফে জানানো হয়েছে, তারা গনির বিষয়ে খোঁজখবর করছেন।
ক্ষমতার মসনদে বসে পড়া তালিবানদের হুঁশিয়ারি, সরকারি আধিকারিক, কর্তাদের সেই ২০ বছর আগের মতো মাথা নিচু করে দেশে থাকতে হবে, তালিবানদের অধীনে। কোনওরকম দুর্নীতি, ঘুষ, উদাসীনতা থেকে দূরে থাকতে হবে। ক্ষমতাসীন তালিবানের কথামতো চলতে হবে। প্রেসিডেন্ট ভবনে ঘাঁটি গেড়ে বসে এসব বার্তাই দিচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠী।