বৃষ্টিতে বাগুইহাটির কেষ্টপুর খাল পাড়ে তিনতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। ছবি: রাজীব বসু
কলকাতা: বৃহস্পতি এবং শুক্রবার পরপর দুদিন কখনও ভারী আবার কখনও ঝিরঝিরে বৃষ্টি। লাগাতার বর্ষণে বিপর্যস্ত জনজীবন। বিভিন্ন জায়গায় চাষের জমিতে জল ঢুকে গিয়েছে। বিঘার পর বিঘা ধানক্ষেত চলে গিয়েছে জলের তলায়। গত কয়েক দিনের নাগাড়ে বৃষ্টিতে ‘জল-যন্ত্রণা’র এই ছবি উঠে এসেছে দক্ষিণের একাধিক জেলা থেকে।
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। আরামবাগ থেকে শুরু করে আসানসোল সব জায়গায় প্রায় একই ছবি। একাধিক এলাকায় অস্থায়ী সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বিভিন্ন রাস্তাও।
একে তো বৃষ্টি, তার মধ্যেই জল ছাড়ছে ডিভিসি। বেশ কিছু জেলায় পরিস্থিতি খুবই খারাপ। কার্যত বন্যা পরিস্থিতি একাধিক জেলায়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে। ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। পাঞ্চেত, মাইথন জলাধার থেকেও জল ছাড়া হয়েছে। জলমগ্ন বোলপুরের কঙ্কালীতলা মন্দির। হুগলি জেলার পুড়শুড়ার সোদপুর এলাকায় একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর শহরেও কার্যত জল থৈ থৈ অবস্থা। জলমগ্ন হয়ে বন্ধ ছিল অন্ডাল বিমানবন্দর।
পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন। শনিবার দুপুরে জেলাশাসকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যসচিব।