ট্রফি থেকে এক ম্যাচ দূরে দাঁড়িয়ে বিরাট কোহলি। ২০১৬ সালে অধিনায়ক হিসেবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে আইপিএলের ফাইনালে তুলেও ট্রফি জেতা হয়নি তাঁর। এ বার অধিনায়ক নন, ব্যাটার কোহলির সামনে সেই সুযোগ। আর একটা ম্যাচ জিতলেই আঠারো নম্বর আইপিএল ট্রফি উঠতে পারে আঠারো নম্বর জার্সিধারীর হাতে।
বৃহস্পতিবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে পঞ্জাব কিংসকে কার্যত উড়িয়ে দেয় বেঙ্গালুরু। পঞ্জাবের ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১০১ রানে। শিশিরের প্রভাবে বোলিং আরও কঠিন হয়ে পড়ে তাদের জন্য। বেঙ্গালুরু লক্ষ্য তাড়া করে নেয় মাত্র ১০ ওভারে।
২০১৪ সালের পর আবার প্লে-অফে উঠেছিল পঞ্জাব। সে বার কলকাতার কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল। সেই কেকেআরের অধিনায়ক ছিলেন শ্রেয়স আয়ার। এবার পঞ্জাবের নেতৃত্বে তিনিই। প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে গেলেও এখনও ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে তাঁর। তবে এই বিশ্রী হার কাটিয়ে ওঠা শ্রেয়সদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
আইপিএল শুরুর আগে সম্প্রচারকারী সংস্থার বিজ্ঞাপনে উঠে এসেছিল কোহলির ১৮ নম্বর জার্সির কথা। ১৮তম আইপিএলে কোহলি একদম ফাইনালের মুখে। আগেও তিন বার ফাইনাল খেলেছে বেঙ্গালুরু, কিন্তু ট্রফি অধরা। কোহলির ঝুলিতে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থাকলেও নেই আইপিএল। এ বার কি বদলাবে ছবিটা?
এই ম্যাচে কোহলির বড় কোনও অবদান না থাকলেও শুরুতেই বাজিমাত করেছিলেন যশ দয়াল, ভুবনেশ্বর কুমার ও জস হেজলউড। তাঁদের দাপটে ১৪.১ ওভারে অল আউট হয়ে যায় পঞ্জাব। আইপিএলের প্লে-অফ ইতিহাসে এত কম ওভারে অল আউট হওয়ার নজির প্রথম বার।
পঞ্জাব ও বেঙ্গালুরু দুই দলই আইপিএলে প্রতি বছর খেললেও এখনও অবধি ট্রফি জেতেনি। তাই প্রথম কোয়ালিফায়ারে মাঠে দেখা গিয়েছিল মরিয়া লড়াই। কিন্তু চণ্ডীগড়ে পঞ্জাবের দর্শকদের সামনে লজ্জার রেকর্ড গড়ে মাঠ ছাড়তে হয় শ্রেয়সদের।