হাওড়া সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কলকাতায় এসেছেন এই সেতুর নকশা নির্মাণকারী ব্রিটিশ সংস্থা ‘রেন্ডেল’ (পূর্বতন রেন্ডেল,পামার অ্যান্ড ট্রিটন) এর প্রতিনিধিরা। বুধবার সংস্থার প্রতিনিধিরা সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা অপর ঠিকাদারি সংস্থা রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক সার্ভিস -রাইটস এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সেতু পরিদর্শন করে।
উল্লেখ্য, রাইটস ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে সর্বশেষ স্বাস্থ্য অডিট পরিচালনা করেছিল।
হাওড়া সেতুর দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব সুনিশ্চিত করতেই নকশা নির্মাণকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। সেতুর বর্তমান অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রেন্ডেল আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে রাইটসকে রিপোর্ট জমা দেবে। এর ওপর ভিত্তি করে রাইটস সেতুর দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে একটি ব্যাপক মেরামত ও পুনর্বাসন পরিকল্পনার প্রস্তাব করবে।
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে রেন্ডেলের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য মাইকেল জে কিং ও রাইটসের অ্যাসিস্ট্যান্ট টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ওমর নাবিল বৈঠক করেন। বৈঠকে বন্দরের আধিকারিকদের সাথে ব্রিটিশ এবং ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা হাওড়া সেতুর চলমান স্বাস্থ্য পরীক্ষার অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন।
উল্লেখ্য প্রায় ২৬ হাজার টন ইস্পাত দিয়ে তৈরি হাওড়া সেতু, যার পোশাকি নাম রবীন্দ্র সেতু। অধিকাংশ ইস্পাত বা লোহা সরবরাহ করেছিল টাটা স্টিল। জামশেদপুর থেকে সেই স্টিল নিয়ে আসা হয়েছিল। হাওড়া সেতু প্রায় ৭১ ফুট চওড়া। দু’পাশে রয়েছে ১৫ ফুটের ফুটপাথ। সেই সময়ে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল সেতু নির্মাণে। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪২ সালের মধ্যে হাওড়া সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯৪৩ সালে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী এই সেতু। প্রতি দিন কমপক্ষে দেড় লক্ষ পথচারী যাতায়াত করে এই সেতু দিয়ে। প্রায় ১,০০,০০০ গাড়ি চলাচল করে।