খেলা

বিরাটের সেঞ্চুরিতে হায়দরাবাদকে হারাল ব্যাঙ্গালোর, চাপে কলকাতা নাইট রাইডার্স?

বিরাট কোহলির শতরানের সুবাদে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে গুঁড়িয়ে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। হায়দরাবাদের তোলা ১৮৬-৫ রানের জবাবে আরসিবি জিতল আট উইকেটে।

বৃহস্পতিবার টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি হায়দরাবাদের। একই ওভারে পর পর দুই ওপেনারকে তুলে নেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। কভারে অভিষেকের (১১) ক্যাচ নেন মহিপাল লোমরোর। রাহুল ত্রিপাঠী (১৫) সুইপ করতে দিয়ে ক্যাচ দেন হর্ষল পটেলের হাতে। তবে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে শতরান করলেন হায়দরাবাদের হেনরিখ ক্লাসেন। ৫১ বলে ১০৪ রান করেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারের দাপটে আগে ব্যাট করে ১৮৬-৫ তোলে হায়দরাবাদ। ১৯ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন হ্যারি ব্রুক।

শতরান করে আরসিবিকে জেতাতে মুখ্য ভূমিকা নিলেন বিরাট (৬৩ বলে ১০০) এবং দোসর ফাফ ডুপ্লেসি (৪৭ বলে ৭১)। কার্যত দুই ওপেনারে ভরসা করেই হায়দরাবাদ ম্যাচ জিতে নিল আরসিবি। আরসিবির দুই ওপেনার শুরু থেকেই চালিয়ে খেলছিলেন। কোনো বোলারই কোহলি এবং ডুপ্লেসির সামনে দাঁড়াতে পারেননি।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের জয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে চাপ বাড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় প্রথম চারে ঢুকে গিয়েছে আরসিবি। আইপিএলের প্লে-অফে উঠতে গেলে আরসিবিকে শেষ দু’টি ম্যাচে দু’টিতেই জিততে হত। এই অবস্থায় প্রথম ধাপটা ভাল ভাবেই পেরিয়ে গেল তারা। তাতে আরও সমস্যায় পড়েছে কেকেআর।

আপাতত ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে কলকাতা পয়েন্ট টেবিলে সাত নম্বরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের নেট রানরেট -০.২৫৬। আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এই ম্যাচটা জিতে চার নম্বরে উঠে এসেছে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করার পাশাপাশি তাদের নেট রানরেট আপাতত +০.১৮০। আর পাঁচ নম্বরে ১৪ পয়েন্টেই রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তাদের রানরেটও -০.১২৮। ফলে মুম্বই হারলেও তারা ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে থাকবে। আর কলকাতা ১৪ পয়েন্ট পেলেও রান রেটের কারণে মুম্বইয়ের নিচেই থাকবে। সুতরাং আর কোনও অঙ্কই কলকাতাকে শেষ চারে নিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.